আত্মিক শান্তির জন্য ভারতের সবচেয়ে সুন্দর 5টি গুরুদ্বারা

Gurmeet Kaur

Last updated: Jul 18, 2017

Author Recommends

Do

Delhi: Take a food tour around Old Delhi, or a Delhi by Cycle tour
Gwalior: Adventure activities at Madhav National Park and light and lsound show at Gwalior Fort

Eat

The "aate ka halwa" (dessert made of flour, sugar and ghee) that you'll get as “prashad” in every gurdwara is a must try!

Shop

Manali: Buy traditional Himachali outfits, souvenirs and handlooms from Manali
Gwalior: Ornaments, wall hangings, handmade carpets, dokra statuettes, hand-woven saris
Amritsar: Pashmina shawls, sarees, suits and wallets made up of Zari, Phulkari and Kinari fabric
Leh: Wicker baskets, jewellery, clothes, rucksacks and traditional artwork at the Leh Market

Click

Leh: The Hemis Festival is a riot of colours and offers many wonderful photo opportunities
Manali: The picturesque Rohtang Pass is a delight to capture on a camera
Amritsar: The flag hoisting ceremony at the Wagah border

Events

Gwalior: The yearly Tansen Music Festival is a favourite with Indian classical music lovers
Manali: Manali Winter Carnival, which usually takes place in February

Want To Go ? 
   

 

’হিন্দীতে গুরু মানে শিক্ষাগুরু, দ্বারা-র অর্থ দরজা। গুরুদ্বারা এমন একটি জায়গা যেখান থেকে কেউ খালি হাতে ফেরে না’। বাংলা সাহিব যওযার পথে গুরুদ্বারার অর্থ জানতে চাওয়ায় আমার মা আমাকে এই কথাই বলেছিলেন। ধর্ম বা রীতি-রিওয়াজ নিয়ে মাতামাতি কোনোদিনই ছিল না আমাদের পরিবারে, না তো আমি গুরুদ্বারা যাওয়ার লোক ছিলাম (যদিও আমি আদপে শিখই), কিন্তু গুরুদ্বারাতে কিছু একটা আকর্ষণ আছে – হয়ত এখানকার পরিবেশ – যেটাই আমাকে বার বার টানে। এখানে 5টি গুরুদ্বারার কথা উল্লেখ করা হল, এগুলি জীবনে একবার অবশ্যই ঘুরে আসা উচিত্‍।

গুরুদ্বারা বাংলা সাহিব, দিল্লী

সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি রাজা জয় সিংএর বাংলা বা বাংলো ছিল। অষ্টম গুরু, গুরু হর ক্রিষণ তাঁর দিল্লী ভ্রমণকালে এখানেই ছিলেন। সেই সময় এই এলাকার লোকজন গুটিবসন্ত এবং কলেরার মহামারীতে ভুগছিল। গুরু হরক্রিষণ তাঁদের জীবন রক্ষায় সাহায্য করেন এবং, তারপর তিনি নিজেও এই রোগে আক্রান্ত হন এবং দেহত্যাগ করেন। এই গুরুদ্বারাটি তাঁর নামেই নির্মিত।

দিল্লীতে থাকাকালীন দেখে নিন: কনট প্লেস যেখানে এই গুরুদ্বারাটি অবস্থিত সেখান থেকে ইণ্ডিয়া গেট 4 কিমি, কুতুব মিনার 14.1 কিমি, লোটাস টেম্পল 14.9 কিমি এবং হুমায়ুন’স টুম্ব 7.8 কিমি।    

গুরুদ্বারা দাতা বন্দী ছোড় সাহিব, গোয়ালিয়র

Gwalior Fort, Photo Credit: Nagarjun Kandukuru/flickr

গোয়ালিয়রের দাতা বন্দী ছোড় সাহিব ষষ্ঠ গুরু হর গোবিন্দ সিংএর মুক্তির উপলক্ষে নির্মিত হয়, তাঁকে গোয়ালিয়র ফোর্টে দু বছর বন্দী করে রাখা হয়েছিল এবং তিনি 52 জন শিখ শাসককে মুক্ত করেন যাদেরকে তত্‍কালীন জাহাঙ্গীর সম্রাট বন্দী করে রেখেছিল।

গোয়ালিয়রে থাকাকালীন দেখে নিন: গোয়ালিয়র ফোর্ট , যেখানে দাতা বন্দী ছোড় সাহিব অবস্থিত সেখান থেকে জয় বিলাস প্যালেস 4.2 কিমি, সাইণ্ডিয়া মিউজিয়াম 5 কিমি, শাস নহু টেম্পল 1.4 কিমি এবং টিগ্রা দাম 20 কিমি দূরে।

গুরুদ্বারা মণিকরণ সাহিব, মানালি

Gurudwara Ganikaran, Photo Credit: balu/flickr

​মানালির একটি অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ হল মণিকরণ সাহিব। এটি নির্মিত হয়েছিল প্রথম গুরু গুরু নানক দেবের স্মৃতিতে। তিনি তাঁর শিষ্য ভাই মরদানাকে সঙ্গে নিয়ে এখানে এসেছিলেন।

মানালিতে থাকাকালীন দেখে নিন: মণিকরণ রোড থেকে 13 কিমি দূরে কসোল, নদীর তীরে একটি অপূর্ব জায়গা।  

গুরুদ্বারা হরমন্দির সাহিব, অমৃতসর

 Golden Temple, Photo Credit: Arian Zwegers/flickr

হরমন্দির সাহিব সোনার পাতে মোড়া তাই লোকে এটিকে স্বর্ণমন্দির বলে জানে। 1588 তে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন পঞ্চম গুরু গুরু অর্জন দেবজী, এবং বর্তমানে এটিই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গুরুদ্বারা। এই গুরুদ্বারাটিতে চারটি মুখ্য দরজা রয়েছে, শিখদের মতানুযায়ী যার অর্থ হল সমাজের সকল মানুষই সমান।

অমৃতসরে থাকাকলীন দেখে নিন: স্বর্নমন্দির থেকে 31.1 কিমি দূরে ওয়াঘা বর্ডার এবং 450 মিটার দূরে জালিয়ানওয়ালাবাগ।

গুরুদ্বারা পথর সাহিব, লেহ

মাউণ্টেন টাউন লেহ থেকে 23 কিমি দূরে লেহ-কার্গিল রোডে পথর সাহিব অবস্থিত। এই গুরুদ্বারাটি প্রথম গুরু এবং শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক দেবেরে এই জায়গায় ভ্রমণকে চিহ্নিত করতে স্থাপিত হয়, কিংবদন্তী আছে যে এখানকার মানুষকে দূর্ণীতিপ্রবণ সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করেন।

লেহ তে থকাকালীন দেখে নিন: পথর সাহিব থেকে 26 কিমি দূরে লেহ প্যালেস, প্যাংগং ত্‍সো (পৃথিবীর উচ্চতম লেক) 159 কিমি, স্পিতুক গোম্পা 17.8 কিমি।

এবার আপনি জেনে গেলেন আপনি যখন একটু চেঞ্জ চাইছেন, তখন কোথায় যেতে পারেন, নিজের অন্তরাত্মার সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান – স্বীকার করতে বাধা নেই, আমরা সবাই তাই চাই – আর কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন? পুরোপুরি শান্তি, পবিত্রতা এবং ইতিবাচকতায় পূর্ণ ছুটি কাটানোর জন্য ব্যাগ প্যাক করে ফেলুন।