গ্রীষ্মকালের কথা ভাবলেই সবার প্রথমে যে কথাটি মাথায় আসে সেটি হল ঘেমো গরম। কিন্তু, বণ্যপ্রাণীদের বিষয়ে আগ্রহীদের জন্য ভারতের বিস্তীর্ণ জঙ্গল এবং ভারতীয় জাতীয় উদ্যান এবং বণ্যপ্রাণীদের অভয়ারাণ্যগুলিতে যাবার জন্য এর থেকে ভাল সময় আর হয় না। চিড়চিড়ে রোদে যখন জঙ্গলের ছোট ছোট জলাশয়গুলিকে শুকিয়ে দেয়, তখন জঙ্গলের অধিবাসীদের তখন পিপাসা মেটাতে অল্প-সল্প জলের উত্সগুলির দিকেই যেতে হয়। এটিই বন্য পশুদের দেখতে পাওয়ার একটি আদর্শ সুযোগ, কারণ সব পশুদেরকেই একবার না একবার বেরোতেই হয়; জলা জায়গাটির আশেপাশে ধৈর্যসহকারে অপেক্ষা করতে হবে শুধু। সেই সঙ্গে এই সময় গাছপালা শুকিয়ে যাওয়ায় এবং গাছপলার সংখ্যা কম হওয়ায় জঙ্গলের মধ্যেও আপনি এদিক থেকে ওদিক পরিষ্কার দেখতে পাবেন।
বন্য পশুদের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেতে এবার গ্রীষ্মে ঘুরে আসুন এই 7টি ন্যাশনাল পার্ক
কর্ণাটকের সবচেয়ে সুরক্ষিত সিক্রেট এই কাবিনী নিঃসন্দেহে দেশের অভয়ারণ্য়গুলির মধ্যে একেবারে অন্যরকম। শুষ্ক গ্রীষ্মে, জলের অভাবে নাগরহোল জাতীয় উদ্যানের সমস্ত বন্য প্রাণীই জলের খোঁজে আসে কাবিনী নদীর তীরের দিকে। এই তৃণভূমিতে হাতির পালের দলবদ্ধ যাতায়াত, বাঘেদের অলস পায়চারী, বা শয়ে শয়ে হরিণের তৃণভূমিতে আনাগোনা খুবই সাধারণ দৃশ্য। তীরবর্তী তৃণভূমিতে বন্য জীবনের অপরূপ দৃশ্য দেখতে দেখতে এই নির্মল কাবিনী নদীর ওপর লক্ষ্যহীন বিহার করতে করতে যে অমূল্য স্মৃতি আপনি সঞ্চয় করবেন, তা সারজীবন আপনার মনে গেঁথে যাবে।
সুরক্ষিত এরিয়ার মধ্যে জীপ সাফারিতে বন্য পশুদের পর্যবেক্ষণ করার মজাই আলাদা, কিন্তু ন্যাশনাল পার্কের বাইরে খোলা জায়গায় বন্য পশুর মুখোমুখি হওয়া অন্য রকম ব্যাপার। লাদাখ শুধুমাত্র আশ্চর্য সব ল্যাণ্ডস্কেপেরই জায়গা নয়, রয়েছে অসাধারণ সব বন্যপশুরাও। চংথংএর জলাভূমিতে কালো-গলাওয়ালা সারস, দাগি রাজহাঁস, কালো গলা-ওয়ালা পানকৌড়ী ইত্যাদি পাখি দেখা যায়। বিরল প্রজাতির পাখি ছাড়াও, সুঠাম-দেহ এবং দৌড়বাজ কিয়াং পাখি, ছোট ছোট পাহাড়ী ইঁদুর, ইঁদুরে খরগোশ হিমালয়ান নীল ভেড়াও পাওয়া যাবে। মে মসের মাঝামাঝি সময়ে রাস্তা খুলে যাবার সাথে সাথে ভিড় বেড়ে যাওয়ার আগেই লাদাখের সমতলভূমির দিকে বেরিয়ে পড়ুন এবং প্রত্যক্ষ করুন এখানকার উঁচু-উচ্চতার বিচিত্র প্রাণীজগত্টিকে।
বিগত কয়েক দশক ধরে আমাদের হৃদয় জয় করে রেখেছে বঘীরা, কিন্তু, ওরকম একখানা দুর্লভ ব্ল্যাক প্যান্থার চর্মচক্ষে প্রত্যক্ষ করা যার পর নাই দুষ্কর। যাই হোক, অণশী-দন্দেলী টাইগার রিজার্ভে ব্ল্যাক প্যান্থারের সংখ্যা বেড়ে্ছে বিগত কয়েক শতকে, এই টাইগার রিজার্ভটির বর্তমান নাম কলি টাইগার রিজার্ভ। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, ব্ল্যাক প্যান্থার এবং বাঘ দুটিই স্বাভাবিকের থেকে বেশিই দেখা যাচ্ছে। আপনার ভাগ্য পরীক্ষা করতে দন্দেলীর এই বিস্তৃত জঙ্গলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ার এটাই প্রকৃত সময়।
আসামের কাজিরাঙা অভয়ারণ্য এবং এখানকার রাইনোরা যুক্তিযুক্ত কারণেই পর্যটকদের নজর কাড়ে, কিন্তু এই রাজ্যের বিচিত্র বৈচিত্র এখানেই শেষ নয়। ভারতের একমাত্র উল্লুক হুলক গিবন শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট ছোট কিছু জায়গাতেই পাওয়া যায়। হুলকরা হল বৃক্ষবাসী প্রাণী এবং এরা এদের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটায় গাছের ওপর এবং এদের খুঁজে পাওয়াও বেশ দুষ্কর। সম্প্রতি চাবাগানে ঘেরা মাত্র 20 স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত হোলোঙাপার গিবন অভয়ারণ্যে গিবনদের একটি ছোট্ট গোষ্ঠী লক্ষ্য করা গেছে। একজন ফরেস্ট গাইডকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলের পথে বেরিয়ে পড়লে অবশ্যই গাছের ডাল থাকে ডালে ঝুলন্ত গিবনদের দেখা পেতে পারেন।
জঙ্গলবুক-এর মোগলীর জঙ্গলের মত কানহা ন্যাশনাল পার্কের অদ্ভূত এক ইকো-সিস্টেম রয়েছে, যেটি চট করেই আপনার পছন্দ হয়ে যাবে। এখানে বিস্তৃত তৃণভূমি, যেখানে আগে গ্রাম ছিল, এবং অপেক্ষাকৃত সমতলভূমি থাকায় এখানে বন্যপ্রাণীদের দেখতে পাওয়াটা ঠিক লুকোচুরি খেলা নয়। কানহাতে সূর্যোদয়ের সময় সোনালী তৃণভূমির ওপারে বড়াসিংগাদের (জলাভূমির হরিণ) লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ানোর দৃশ্য আপনি কোনরকম বাধা ছাড়াই দেখতে পাবেন। কিন্তু, কানহার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল বঘ – বিশাল বিশাল ডোরা ডোরা দাগ কাটা এই মার্জারপ্রজাতির এটিই আস্তানা।
রাজস্থানের রন্থম্ভোর এবং উত্তরপ্রদেশের করবেট হয়ত বাঘ দেখার জন্য বেশি সুযোগবহুল, কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সেরা ব্যাঘ্র-অভয়ারণ্য হিসাবে তাডোবা আন্ধেরী ব্যাঘ্র-অভয়ারণ্য নিঃশব্দে খ্যাতি অর্জন করছে। জিপ সাফারিতে জায়গার জন্য গুঁতোগুঁতি না করে আপনি এমনিতেই বাঘ, লেপার্ড, স্লথ ভল্লুক এবং আরও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখতে পাবেন তাডোবাতে। তাডোবাতে আরও একটি সুবিধা হল যে এটি সারা বছরই খোলা থাকে, যে সুবিধাটি অন্যান্য জাতীয় উদ্যানগুলিতে নেই।
আপনি যদি সম্পূর্ণরূপে ভিড় এড়াতে চান এবং নতুন ল্যাণ্ডস্কেপের সন্ধানে বেরোতে চান, তাহলে আপনি পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের দিকে যেতে পারেন। পূর্ব হিমালয়ের প্লাবনভূমি এবং পর্বতের পাদদেশে ডুয়ার্স তথা বক্সা বিচিত্র এবং একেবারে অন্যরকম প্রাণীকুলের বাসভূমি, যেমন, বাঘ, চিতা, মেঘলা চিতা, চিতা বিড়াল, মেছোবাঘ, মালায়ান রাম কোটা এবং আরও অনেক। বক্সাতে সময় এবং একটু শ্রম খরচ করলে আপনি অবশ্যই বিরল দৃশ্য দেখতে পাবেন।
এই গৃষ্মের দাবদাহে বেড়াতে যাওয়ার জন্য আরও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন? এই গ্রীষ্মে আমাদের ওয়াইল্ডলাইফ স্পটিং-এর গাইডটি দেখে নিন।
Mayank Kumar Follow
Prefers Bukowski and Gulzar over Shakespeare and Tagore. And nights over daytime. Possesses wit that offends more than it impresses. Anti-social and friendly in the same breath. Miniature souvenir and stationery hoarder. Desperately trying to bring being nice in vogue.
Bearing a Snowstorm at Changla Pass on a Motorbike!
Souvik Mandal | Aug 11, 2020
Ladakh Was the Best Way to Step out of My Comfort Zone!
Parvathy L S | Feb 3, 2023
My Trip to Ladakh Can't Be Described in Words!
Neha Ubhare | Jun 5, 2020
6 Amazing Places to Visit in September
Neha Sharma | Sep 19, 2019
Not Khardung La, This Is the World’s Highest Motorable Pass. Yes, It’s in India!
Mayank Kumar | Feb 3, 2023
8 Spectacular Buddhist Monasteries in India
Deepa N | Sep 17, 2024
Eight Days of Holidaying Fun in Ladakh – Here’s the Plan!
Deepa N | Feb 3, 2023
Try These Offbeat Things to Do in Ladakh
Neha Bahl | Nov 28, 2019
Discovering the Beauty of Meghalaya During the Monsoons!
Ryan Jhamb | Mar 18, 2021
Escape into the Offbeat Wilderness of Goa!
Pooja Akula | Mar 10, 2021
How We Beat the COVID-19 Blues with a Trip to Jim Corbett!
Ritvik Arora | Oct 27, 2020
The 6 Egypt Landmarks You Must Visit If You Are a History Buff
MakeMyTrip Holidays | May 8, 2020
11 Incredible Things to Do in Jerusalem
MakeMyTrip Holidays | May 5, 2020
10 Places That You Must See on Your Israel Holiday
Lateeka Sabharwal | Apr 28, 2020
Met a Naga Family with a Pet Black Bear! Can You Believe That?
Shubhra Kochar | May 8, 2020
The Treasures I Found on the Ghats of Varanasi!
Shuchi Singh | Apr 7, 2022